সময় ১৯৫৯/১৯৬০-৬১।
বছরের পর বছর ধরে বেলজিয়ামের নিষ্ঠুরতম ঔপনিবেশিক আচরণের শিকার কংগো(জায়ার)। কিন্তু আবার অন্যদিকে কিছুটা আর্থিক উন্নতি, আমলাতন্ত্রের ভিত্তিমূল রচনা - এ কাজ সবই বেলজিয়ামের করা। অনেক টেকনিক্যাল পোস্টেও বেলজিয়ামের সাদা লোকেরা পোস্টেড। অর্থাৎ একদম টিপিকাল কলোনিয়াল সেট-আপ।এদিকে প্যাট্রিস লুমুম্বা হলেন প্রচন্ডরকমের জাতীয়তাবাদী ও সর্ব-আফ্রিকাবাদী নেতা। তার দলের নাম এমএনসি। মোটামুটিভাবে জনপ্রিয়তা ও প্রভাব বিবেচনায় স্বাধীন জায়ারে তিনিই সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী ক্যান্ডিডেট। কিন্ত ঘটনা এত সোজা নয়। তার অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী যারা এক এক উপজাতির। একদিকে খেলা করছেন কাসা ভুবু ও অন্যদিকে মোইসে শোম্বে। আরেক খেলোয়াড় গি জেংগা।
ক্ষমতা নিয়েও এদের দরকষাকষি। কেউ কেউ আবার বিচ্ছিন্নতাবাদী।
কংগো একটা প্রচন্ডরকমের ethnically diverse দেশ। লুমুম্বা নিজে তেতেলা জনগোষ্ঠীর। কাতাংগা প্রদেশের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল বালুবাকাত ছাড়াও পিসা ও সেরেয়া দলকে আস্থায় আনা যাচ্ছে না। হঠাৎ হঠাৎ লুমুম্বা ভাবছেন কীভাবে সবাইকে এক করা যায় আর কোনো ন্যাশনাল কোয়ালিশন সরকার গঠন করা যায় কিনা।
এদিকে কাতাংগা ও কাসাই নামের বড় দুই প্রদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে নতুন দেশ বানিয়ে বসে আছে- এতে আছে বেলজিয়ামের ইন্ধন। কারণ বেলজিয়াম চায় উপনিবেশবাদ পরবর্তী সময়ে কংগোর মতো প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দেশে তাদের পরোক্ষ প্রভাব থাকুক। বেলজিয়ামের সাথে আছে পাশ্চাত্য গোষ্ঠী কারণ লুমুম্বার ধারণা, যদি এন্টিকলোনিয়াল আংগিকে দেশ পরিচালনা করতে হয়, তবে বেলজিয়ামের সমস্ত প্রভাব হটিয়ে দিতে হবে, এবং একারণে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য নিয়ে খেলাকে ঘুরিয়ে দিতে পারেন কিনা ভাবছেন। আবার আছে সেনাবাহিনীর খেলা। কংগোর সেনাবাহিনীর সৈনিক ছিল কৃষ্ণাঙ্গ ও বড় অফিসাররা শ্বেতাঙ্গ। কৃষ্ণাঙ্গ সৈনিকরা আবার বিদ্রোহ করে। শ্বেতাঙ্গদের বাঁচাতে আবার ডাইরেক্ট হস্তক্ষেপ করে বেলজিয়াম। কৃষ্ণাঙ্গ সৈনিকদের মধ্যেও ঝামেলা। কারণ এদের মধ্যে একজন লে. কর্নেল মোবুটু সেসে সেকু( যিনি আবার লুমুম্বার প্রধান সামরিক কর্মকর্তা) যে কিনা প্রচন্ড ক্ষমতালিপ্সু ও পাশ্চাত্যপন্থী। দেশে আবার মাওবাদী গেরিলা উত্থানের চাপা আশংকা। আবার জনগণের বিরাট অংশ লুমুম্বা পন্থী। আর্মির একাংশ পাশ্চাত্যপন্থী ও একাংশ জাতীয়তাবাদী